Search This Blog

Thursday, June 14, 2018

প্রজাপতি মন

প্রজাপতির নীল ডানা, আর তাতে লালের দাগ।  মনে হয় রং চিনতে ভুল হচ্ছে আবার! নীলের ওপর লাল ফোটে না, আসন সেলাই করার কালে মা বলতো। হলুদে তুলি ডুবিয়েও তো আর লাভ নেই। হলুদ নীলে সবুজ তৈরি করবে।

অবশ্য সবুজের বড়ো দরকার। ঘরের কোনে জঞ্জাল, ঘরের কোণে অসুখ,মনের মধ্যে মাকড়সার জাল, বাইরের দুনিয়া ধূসর। আর সবুজের অভাব মেটাতে যে চারাগাছটায় জল দিতাম, সেটা কেমন যেন হলুদ হয়ে গেছে, বৃষ্টি হচ্ছে না কয়েকদিন ধরে।

বৃষ্টি আজকাল বড্ডো উদাসীন। মেঘ জমে, মেঘ জমতেই থাকে, আকাশের মুখ কালো হয়।  বৃষ্টি বাজে না বুকে। আরেকটা রং এলো ওই।  কালোর টান পড়লো, চার নম্বর তুলির মোটা আঁচড়, সাধের প্রজাপতির গায়ে। অথচ ওটাকে পড়ে থাকতে দেখেছিলাম সাদার ওপর।  দিগন্ত বিস্তৃত পাহাড়, সে গায়ে জড়িয়ে আছে বরফের চাদর, চতুর্দিকে সাদা, আর সেই  চোখ ঝলসানো সাদার মধ্যে মরে কাঠ হয়ে পড়ে আছে ও । ডানা ছড়িয়ে মৃত্যুশীতল, সাদার উপর অসাধারণ ফুটেছে ওর গায়ের হলুদ, লাল, নীল এমনকি অল্প অল্প কালোও! শুধু কোথাও কোনো ধূসরতা নেই। সাদার প্রেক্ষাপটে নির্মম ভয় আছে, আর আছে বিভিন্ন রঙের ছিটে ছড়িয়ে বিভিন্ন জীবন।

সে ছিল সেখানের কথা। যেখানে একটু উষ্ণতার জন্যে ভয় পেতে বারণ ছিল না। বারণ ছিল না অভিমানের কান্নারও।
 
এখানে কিন্তু  অন্য খেলা চলে।  সাদায় কালোয় মিশে প্যালেটটা ধূসর হয়।  কুয়াশা আসে, বৃষ্টির বদলে। অধিকারবিহীন  অভিমানের মতো সে ধীরে ধীরে জমে, গিটারের তার গুলোয় জমে, লেখার খাতার পাতায় জমে।  ওকে লুকিয়ে রাখার প্রয়োজন, কারণ আমরা কেউই তো ওই প্রজাপতিটা নই! মৃত্যু আসবে না আমাদের কাছে রাজার বেশে। দিনে দিনে একটু একটু করে চোরাগোপ্তা আক্রমণেই  মরণ লেখা আমাদের। আর আক্রমণ ঠেকাতে চাইলে  সবার আগে  ওই প্যালেটটা  বিসর্জন দাও ওয়াশ-বেসিনে, গিটারের তার গুলোকে যত্ন করে ছিড়ে তুলে রাখো আলমারির চোরকুঠুরিতে। কবিতা লেখার খাতায় একটা রোজনামচা বানাও, একটা রুটিন। প্রিয় বই গুলোর উপহারের পাতায় লেখো প্রিয় বন্ধুর নাম, তার পর কলম তুলে রাখো স্রেফ চেকবুকে সই করার জন্যে।
মনটাকে ঘাড় ধরে ফিরিয়ে আনো ছটা-দশটার চাকায়।

মনের সাধ্য কত যে বৃষ্টির আশায় অভিমান করবে  !   



Tuesday, March 20, 2018

ছায়াপথ আর সে

একটা লম্বা ছায়াপথ!
ছায়াপথকে কে ঘিরে রাখে নীল?
ওরা  আগুন হয়ে জ্বলে ,
আমি একটুতে ভয় পাই-
ওরা আকাশ কাঁপিয়ে তোলে-,
আমি শব্দতে চমকাই!
ওরা রং ছড়িয়ে হাসে,
 আমার কালোর গায়ে দাগ!
ওরা ভালোবেসেই আসে,
আমার শেষ সম্বল রাগ!
তাই সামলে রেখেই বাঁচি,
সব ইচ্ছেগুলোয় কাঁচি,
তবু একপলকের ঝড়-
ফের হাতছাড়া বন্দর!
ওরা ঢেউয়ের সাথে যায়,
আমার ভিজতে ভীষণ ভয়,
তাই গল্প লেখাই সার,
আমার জিতে গিয়েও হার!
ওরা ঠিক হারিয়েই  যায়,
শুধু ছায়াপথ থেকে যায়!
ছায়াপথ ঘিরে কে থাকে, নীল??
শূন্যতা, আবার করে কাছে টেনে নিয়ো আমায়।





Wednesday, February 14, 2018

সন্ধ্যে নামার আগে

সূর্য ডোবার আগে নামটা বলে যেয়ো-কারণ রাতের বেলা
আমি হারিয়ে ফেলি--পরিচয়, আস্থা, বিশ্বাস ,এমনকি হিংসাও!
রাত্তিরগুলো নির্জন তো, তাই রাত্তিরগুলো সাহসের-
নগ্ন সাহসের! বন্ধ দরজার এপার থেকে চিৎকারের।
আকাশের বুক ফাটিয়ে যে চিৎকার ভেসে যাবে কালো শূন্যতায়!

শূন্যতা নিয়েই বেঁচে আছি - আমি এবং আরো অনেকে-
হয়তো তুমিও! যদিও মুখোশ বদল আর চোরাগোপ্তা
আক্রমণের খেলাটা বেশ রপ্তই হয়েছে ইদানিং, তবু,
রাতের অন্ধকারে সবই কালোয় মিশে যায়, তুমি তো জানোই!
তাই বলছি, সন্ধ্যে নামার আগেই নামটা বলে যেও-

ছুরি মারতে সুবিধা হবে!!

Saturday, January 13, 2018

knocking on heaven's door

আকাশের গায়ে মেঘ ছিল কি? বোধহয় ছিল।  ঠিক মাথার উপরে, অনেক উপরে, যেখানে পৌঁছনোর অনেক আগেই মানব-'সভ্যতা' ধ্বংস হয়ে যেতে বাধ্য, একটা তারা টিম টিম করে জ্বলছিল।  একটা বৃত্ত, বৃত্তের নিচের হেমিস্ফিয়ারে বসে আছি, নাকি ছিলাম? ঠিক মনে পড়ছে না।  মনে পড়ছে পাশে একটা সাদা খুঁটি ছিল , একটু আগে ওটায় ঠেস  দিয়ে বসেছিলাম।

 নীল, এই মাঠটায় তোরা ক্রিকেট খেলতিস।  আর আমি ওই দূরে অশ্বত্থ গাছের গুঁড়িতে হেলান দিয়ে ডিলান শুনতাম- knock, knock, knocking on heaven's door! যাঃ এই স্বভাব হয়েছে এখন, বড়ো পিছন পানে ফিরে যাই। কথা হচ্ছিলো তারা নিয়ে। প্রেমে পড়লে সক্কলে তারা গোনে, আমরাও গুনেছি! কিন্তু ওই একটা তারা, গোটা আকাশে ওই একটা তারা ওর মধ্যে একটা টান আছে। আজ আমার মতোই ও-ও  সাহস করে একলা এই অন্ধকারে এসে বসেছে, ওর নাম ঋত্বিক দি? অন্ধকারের পূজারী? ব্যর্থতার? melancholy'র?

দূরে রাস্তা দেখা যাচ্ছে একখানা, গাছের বাহারি করা, দুদিকে গাছ লাগানো আর কি! আর মাঝে মাঝে ল্যাম্পপোস্ট।  রাস্তাটার উপর সাদা আর হলুদ আলো কাটাকুটি খেলছে, আর অন্ধকারটা বেশ জমাটি মেজাজে করছে আম্পায়ারিং!  এটা গেছে সোজা সেই সরু কাঠের ব্রিজটা পর্যন্ত, যেটার দুদিকে আমরা দুজন দাঁড়িয়ে ছিলাম শেষ দিন, আর সেটা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছিল। শব্দটা এখনো শুনতে পাচ্ছি, নীল, বিশ্বাস কর।  কাঠের ভেঙে যাওয়ার শব্দ, কাঠের উপর আঘাতের শব্দ। কাঠের উপর করাঘাতের শব্দ!

মাঠটা একটা বৃত্ত। বৃত্তের নিচের হেমিস্ফিয়ারে আমি বসে আছি। একটাই তারা জ্বলছে আকাশে। গোল করে বৃত্তের পরিধি ধরে আমার দিকে এগিয়ে আসছে সাদা মৃত্যুর মতো কুয়াশা -এক্ষুনি গিলে ফেললো বলে! দরজায় কেউ প্রবল আঘাত করছে নীল, আমার কান ফেটে যাচ্ছে----
knock knock knocking on heaven's door....
knock knock knocking on heaven's door!!

Thursday, January 11, 2018

ঝুমকোলতা

ঝুমকোলতা দেখেছো??

আমি দেখেছি। আমার বাড়ির গলির ঢোকার ঠিক মুখে একটা ভাঙা পাঁচিলের উপর ঝুলে থাকতো। পাঁচিলের ওপারে ছিল একটা পুরোনো বাড়ি, একদল বাদুড় থাকতো সেখানে। রোজ সন্ধ্যেবেলা পড়ে ফেরার সময়, এক পা দু পা, তার পর একদৌড়ে বাড়ি। বিশ্বাস করো, ঝুমকোলতাটাকে খিলখিলিয়ে হাসতে শুনতাম পিছনে।

Image result for ঝুমকোলতা
বাড়িটা তোমার আমার বাড়ির মতোই, শুনেছি ওখানে এক ঠাম্মা থাকতেন, ছেলেরা সব বাইরে থাকতো, সে সব যখনকার কথা আমি তখন শীতের সকালে রোদ্দুরে শুয়ে শুয়ে নাকি হাত পা ছুঁড়ে বিল্লুর সাথে খেলতাম। বিল্লুর ছবি দেখেছি, অ্যালবাম-এ, ইয়া মোটু একটা বেড়াল। আমার বিল্লুকেও মনে নেই, ঠাম্মাকেও না। আমার মনে যতদূর পড়ছে, বাড়িটা অন্ধকার বুকে নিয়ে থমকে দাঁড়িয়ে আছে।  ভাঙা পাঁচিলের ফাঁক  দিয়ে ঘাস-পাতা জন্মানো বাগান, আর ওই ঝুমকোলতা।
রনি, বিট্টুরা ঘুড়ি ওড়ানোর কালে, ভো -কাট্টা ঘুড়ি ধাওয়া করতো যখন, তখনও ওই বাগানে যেত না, ওটা ছিল আমাদের নিজস্ব 'forbidden forest'..কিন্তু ঝুমকো, বরাবর আমাকে বড্ড টানতো। ঠাম্মার ছেলেরা কক্ষনো আসেনি বাড়িটায়।

একটু কিশোরীবেলায়, যখন 'দাশু' থেকে 'দত্তা'য় উত্তরণ হয়েছে, হঠাৎ স্কুল ছুটির দুপুরে ঘরে  ফেরার সময় গলির মুখে দাঁড়িয়ে যেতাম একটু। ঝুমকো'র পাপড়ি গুলোয় আঙ্গুল দিয়ে একবার আদর করে দিতাম। ঝুমকো খুশি হয়ে খিলখিলিয়ে উঠতো।

কলেজকালে, ট্রেন ধরার তাড়ায় আর গল্প হতো না ঝুমকোর সাথে, তবু কোয়ান্টাম মেকানিক্স  আর সদ্য  প্রেমে পড়া ব্যস্ততার মাঝে ঝুমকোর সাথে যখন দেখা হতো, একটু যেন দুলে উঠতো পাতাগুলো; মেয়েবেলার আরেক সই আমার!
 
বাড়িটা ওরা আর রাখছে না।  কলকাতা থেকে আধঘন্টা দূরের মফস্বলে জমির দাম খুব বেড়েছে, ওখানে ফ্ল্যাট উঠবে।

আচ্ছা, ফ্ল্যাটবাড়িতে ঝুমকোলতা হয় ?

Friday, January 5, 2018

উত্তরণ

ওর একটাই সমস্যা। শব্দ গুলো কেবল পালিয়ে যাচ্ছে। আকাশ যেমন, আ গিয়ে লুকোচ্ছে টেবিলের নিচে, ক আর আ-কার নিজেদের মধ্যে ঝগড়া বাধিয়েছে, কি নিয়ে কে জানে! শ গম্ভীর মুখে জানলার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।  যেন ভাবছে, কি করবে, লাফ মারবে, নাকি ডানা মেলে উড়ে যাবে!
কিন্তু জানলা কোথায় এখানে? আর টেবিলই বা কোথায়! সামনের উঁচু পাথরটার দিকে তাকিয়ে আছে ও।  একটাই পাথর, প্রায় দোতলা বাড়ি সমান উঁচু। ওটায় উঠতে হবে. ওর গায়ে ছোট ছোট খাঁজ আছে, কোথাও বা আছে সামান্য একটু বাইরে বেরিয়ে থাকা পাথর।  সেখানে পা রেখে, কখনো সেগুলোকে আঁকড়ে ধরে উঠে যাও!
আর একদম উঠে যাওয়ার পর ?
গম্ভীর মুখের শ জানলা থেকে ওর দিকে তাকিয়ে চোখ টিপলো, ঠোঁটের কোনে বিচ্ছু হাসি।
শব্দগুলো ওইরকমই।  কখন যে আসে কখন যে যায়! তখনি আসে যখন রক্তপাত হয়! চোখের জলের দামে আসে,  নিশ্বাস নিতে না পারার দামে আসে।
কোমরের কাছে দড়ির গিঁটটা টের পেলো ও।  পাথরটার খুব কাছে গিয়ে দাঁড়িয়েছে এখন।
প্রথম ধাপটা কষ্টসাধ্য; ওর পক্ষে তো বটেই।
ছোটবেলায় সিঁড়িভাঙার অংক কক্ষনো মেলাতে পারেনি।  ওর গাছ থেকে আমপাড়ার গল্প 'পথের পাঁচালি' থেকে চুরি করা। পাঁচিল টপকানো দূরে থাকে, চৌকাঠ টপকে যে নিশ্চিন্দিপুর, সেখানে যাওয়াও ওর মানা ছিল। তাই প্রথম ধাপটাই এভারেস্ট। ওপরে আকাশের দিকে তাকালো ও, বুকের মধ্যে ভয়ের চোরাগোপ্তা আনাগোনা।
আকাশে বাংলা বর্ণমালা মেঘের মতো ভেসে বেড়াচ্ছে, বলছে,  , ছুঁয়ে নাও আমাদের----দড়িটা টানটান।  এবার শুধু উঠে যাওয়া বাকি।
প্রথম চেষ্টা। তিরিশ সেকেন্ডও লাগলো না মাটিতে ফিরে আসতে। শব্দের থেকে বেশি তবে জীবন ? এমনটা ভাবেনি ও! শ টাও কেমন একটা হতাশ মুখে তাকালো ওর দিকে। তারপর লাফ দিলো ঘরবিহীন জানলাটা থেকে! হারিয়ে গেলো তারপর।
ভয়ের দামে শব্দ কেনার সাধ্য নেই তবে ওর ?  কিছুক্ষন উপর দিকে তাকিয়ে রইলো ও।  নীল আকাশের বদলে এক বিরাট শূন্য সেখানে। আর সেই শূন্যে হারিয়ে যাচ্ছে বাংলা বর্ণমালা।
আর ফিরবে না? উঁচু পাথরটার উপর থেকে একটা চেষ্টা করলে কি ধরা যায় না ওদের?
কিন্তু ভয় আর ব্যর্থতার ভয় একসাথে একটা অদ্ভুত অবসন্নতা এনে দিলো ওর মধ্যে। সব শব্দই যেন ভেঙে চূরে হারিয়ে যাচ্ছে এবার। অক্ষরহীন একটা অন্ধকারে ডুবে যেতে থাকলো ও। বদ্ধ একটা ঘর, জানলা নেই , আকাশ নেই, টেবিলও নেই বোধহয়। বর্ণমালা যাওয়ার কালে রং কেও টেনে নিয়ে গেছে!

হঠাৎ একটা হাত এগিয়ে এলো, "চল তোকে উঠতে হবে"!

পাথরটা তখনও দাঁড়িয়ে আছে,  সব কটা খাঁজ বুকে নিয়ে। দড়িটাও ঝুলে আছে,  উপরে একজন বসে আছে দড়িটা কোমরে জড়িয়ে , পড়ে গেলে যাতে বাঁচিয়ে নেওয়া যায়। আগে যেটা চোখে পড়ে নি ওর, সেটা হলো চারপাশে অন্য অনেকেই আছে, যারা ওই খাঁজ ধরে উঠে গেছে উপরে, কেউ অবলীলায়,  কেউ একটু কষ্ট করে।
শুধু বর্ণমালাটাই যা নেই।
আকাশ আছে, গাছ-গাছালি, পায়ে চলা পথও, কিন্তু কথা বলছে শুধু মানুষ!
পাথরের গা ঘেঁষে দাঁড়ালো ও।  প্রথম ধাপটা এখন অংক. m , g , h কে ব্যালান্স করছে ফ্রিকশনের প্রতিক্রিয়া বল। প্রথম ধাপটা এখন শক্ত, কিন্তু এভারেস্ট নয়। 
প্রথম ধাপটা উঠে গেলো ও, সাহায্য নিয়েই। ভয়কে আর ভয় লাগছে না! লড়াইটা আর বর্ণমালা ফিরিয়ে আনার নয়, একটা উঁচু পাথর চড়বার। লড়াইটা আর একা একা ছায়াযুদ্ধ নয়, সহায় রয়েছে অনেকেই। লড়াইটা আর লড়াই-ই নয়. একটা সাধারণ চেষ্টা।
পরের ধাপ, আরো একটা ধাপ।  তিননম্বরে গিয়ে বেশ খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা। ভয় ফিরে  এলো বুঝি!
নিচে থেকে একটা চিৎকার-বিরক্তির নাকি উৎসাহের ও জানে না, শুধু একটা নাম কানে বাজলো, নামটা ওর। খাঁজে পা রেখে একটা ধাপ উঠলো ও।  আর একটা। তার পর আর ও একটা।
তারপর সামনে দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ, অনেক নিচে ছোট্ট একটা নদী, আর কাছেই অন্য একটা পাথর ওর দিকে তাকিয়ে হাসছে। হ্যাঁ, হাসছে। পাথরটার ক্ষয় হয়েছে এমনভাবে, দুটো চোখের গোল আর একটা কান অবধি টানা হাসি পরিষ্কার বোঝা যায়, ঠিক যেন অভিনন্দন জানাচ্ছে উঠতে পেরে যাওয়ার জন্য।

মুখে এসে লাগছে মিষ্টি শীতের ঠান্ডা হাওয়া। হঠাৎ দেখলাম, হাওয়ার সাথে আমার দিকে ভেসে আসছে বাংলা বর্ণমালার অক্ষরগুলো, শব্দ হয়ে, বাক্য হয়ে, কবিতা হয়ে....