Search This Blog

Saturday, January 13, 2018

knocking on heaven's door

আকাশের গায়ে মেঘ ছিল কি? বোধহয় ছিল।  ঠিক মাথার উপরে, অনেক উপরে, যেখানে পৌঁছনোর অনেক আগেই মানব-'সভ্যতা' ধ্বংস হয়ে যেতে বাধ্য, একটা তারা টিম টিম করে জ্বলছিল।  একটা বৃত্ত, বৃত্তের নিচের হেমিস্ফিয়ারে বসে আছি, নাকি ছিলাম? ঠিক মনে পড়ছে না।  মনে পড়ছে পাশে একটা সাদা খুঁটি ছিল , একটু আগে ওটায় ঠেস  দিয়ে বসেছিলাম।

 নীল, এই মাঠটায় তোরা ক্রিকেট খেলতিস।  আর আমি ওই দূরে অশ্বত্থ গাছের গুঁড়িতে হেলান দিয়ে ডিলান শুনতাম- knock, knock, knocking on heaven's door! যাঃ এই স্বভাব হয়েছে এখন, বড়ো পিছন পানে ফিরে যাই। কথা হচ্ছিলো তারা নিয়ে। প্রেমে পড়লে সক্কলে তারা গোনে, আমরাও গুনেছি! কিন্তু ওই একটা তারা, গোটা আকাশে ওই একটা তারা ওর মধ্যে একটা টান আছে। আজ আমার মতোই ও-ও  সাহস করে একলা এই অন্ধকারে এসে বসেছে, ওর নাম ঋত্বিক দি? অন্ধকারের পূজারী? ব্যর্থতার? melancholy'র?

দূরে রাস্তা দেখা যাচ্ছে একখানা, গাছের বাহারি করা, দুদিকে গাছ লাগানো আর কি! আর মাঝে মাঝে ল্যাম্পপোস্ট।  রাস্তাটার উপর সাদা আর হলুদ আলো কাটাকুটি খেলছে, আর অন্ধকারটা বেশ জমাটি মেজাজে করছে আম্পায়ারিং!  এটা গেছে সোজা সেই সরু কাঠের ব্রিজটা পর্যন্ত, যেটার দুদিকে আমরা দুজন দাঁড়িয়ে ছিলাম শেষ দিন, আর সেটা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছিল। শব্দটা এখনো শুনতে পাচ্ছি, নীল, বিশ্বাস কর।  কাঠের ভেঙে যাওয়ার শব্দ, কাঠের উপর আঘাতের শব্দ। কাঠের উপর করাঘাতের শব্দ!

মাঠটা একটা বৃত্ত। বৃত্তের নিচের হেমিস্ফিয়ারে আমি বসে আছি। একটাই তারা জ্বলছে আকাশে। গোল করে বৃত্তের পরিধি ধরে আমার দিকে এগিয়ে আসছে সাদা মৃত্যুর মতো কুয়াশা -এক্ষুনি গিলে ফেললো বলে! দরজায় কেউ প্রবল আঘাত করছে নীল, আমার কান ফেটে যাচ্ছে----
knock knock knocking on heaven's door....
knock knock knocking on heaven's door!!

No comments:

Post a Comment