প্রজাপতির নীল ডানা, আর তাতে লালের দাগ। মনে হয় রং চিনতে ভুল হচ্ছে আবার! নীলের ওপর লাল ফোটে না, আসন সেলাই করার কালে মা বলতো। হলুদে তুলি ডুবিয়েও তো আর লাভ নেই। হলুদ নীলে সবুজ তৈরি করবে।
অবশ্য সবুজের বড়ো দরকার। ঘরের কোনে জঞ্জাল, ঘরের কোণে অসুখ,মনের মধ্যে মাকড়সার জাল, বাইরের দুনিয়া ধূসর। আর সবুজের অভাব মেটাতে যে চারাগাছটায় জল দিতাম, সেটা কেমন যেন হলুদ হয়ে গেছে, বৃষ্টি হচ্ছে না কয়েকদিন ধরে।
বৃষ্টি আজকাল বড্ডো উদাসীন। মেঘ জমে, মেঘ জমতেই থাকে, আকাশের মুখ কালো হয়। বৃষ্টি বাজে না বুকে। আরেকটা রং এলো ওই। কালোর টান পড়লো, চার নম্বর তুলির মোটা আঁচড়, সাধের প্রজাপতির গায়ে। অথচ ওটাকে পড়ে থাকতে দেখেছিলাম সাদার ওপর। দিগন্ত বিস্তৃত পাহাড়, সে গায়ে জড়িয়ে আছে বরফের চাদর, চতুর্দিকে সাদা, আর সেই চোখ ঝলসানো সাদার মধ্যে মরে কাঠ হয়ে পড়ে আছে ও । ডানা ছড়িয়ে মৃত্যুশীতল, সাদার উপর অসাধারণ ফুটেছে ওর গায়ের হলুদ, লাল, নীল এমনকি অল্প অল্প কালোও! শুধু কোথাও কোনো ধূসরতা নেই। সাদার প্রেক্ষাপটে নির্মম ভয় আছে, আর আছে বিভিন্ন রঙের ছিটে ছড়িয়ে বিভিন্ন জীবন।
সে ছিল সেখানের কথা। যেখানে একটু উষ্ণতার জন্যে ভয় পেতে বারণ ছিল না। বারণ ছিল না অভিমানের কান্নারও।
এখানে কিন্তু অন্য খেলা চলে। সাদায় কালোয় মিশে প্যালেটটা ধূসর হয়। কুয়াশা আসে, বৃষ্টির বদলে। অধিকারবিহীন অভিমানের মতো সে ধীরে ধীরে জমে, গিটারের তার গুলোয় জমে, লেখার খাতার পাতায় জমে। ওকে লুকিয়ে রাখার প্রয়োজন, কারণ আমরা কেউই তো ওই প্রজাপতিটা নই! মৃত্যু আসবে না আমাদের কাছে রাজার বেশে। দিনে দিনে একটু একটু করে চোরাগোপ্তা আক্রমণেই মরণ লেখা আমাদের। আর আক্রমণ ঠেকাতে চাইলে সবার আগে ওই প্যালেটটা বিসর্জন দাও ওয়াশ-বেসিনে, গিটারের তার গুলোকে যত্ন করে ছিড়ে তুলে রাখো আলমারির চোরকুঠুরিতে। কবিতা লেখার খাতায় একটা রোজনামচা বানাও, একটা রুটিন। প্রিয় বই গুলোর উপহারের পাতায় লেখো প্রিয় বন্ধুর নাম, তার পর কলম তুলে রাখো স্রেফ চেকবুকে সই করার জন্যে।
মনটাকে ঘাড় ধরে ফিরিয়ে আনো ছটা-দশটার চাকায়।
মনের সাধ্য কত যে বৃষ্টির আশায় অভিমান করবে !
অবশ্য সবুজের বড়ো দরকার। ঘরের কোনে জঞ্জাল, ঘরের কোণে অসুখ,মনের মধ্যে মাকড়সার জাল, বাইরের দুনিয়া ধূসর। আর সবুজের অভাব মেটাতে যে চারাগাছটায় জল দিতাম, সেটা কেমন যেন হলুদ হয়ে গেছে, বৃষ্টি হচ্ছে না কয়েকদিন ধরে।
বৃষ্টি আজকাল বড্ডো উদাসীন। মেঘ জমে, মেঘ জমতেই থাকে, আকাশের মুখ কালো হয়। বৃষ্টি বাজে না বুকে। আরেকটা রং এলো ওই। কালোর টান পড়লো, চার নম্বর তুলির মোটা আঁচড়, সাধের প্রজাপতির গায়ে। অথচ ওটাকে পড়ে থাকতে দেখেছিলাম সাদার ওপর। দিগন্ত বিস্তৃত পাহাড়, সে গায়ে জড়িয়ে আছে বরফের চাদর, চতুর্দিকে সাদা, আর সেই চোখ ঝলসানো সাদার মধ্যে মরে কাঠ হয়ে পড়ে আছে ও । ডানা ছড়িয়ে মৃত্যুশীতল, সাদার উপর অসাধারণ ফুটেছে ওর গায়ের হলুদ, লাল, নীল এমনকি অল্প অল্প কালোও! শুধু কোথাও কোনো ধূসরতা নেই। সাদার প্রেক্ষাপটে নির্মম ভয় আছে, আর আছে বিভিন্ন রঙের ছিটে ছড়িয়ে বিভিন্ন জীবন।
সে ছিল সেখানের কথা। যেখানে একটু উষ্ণতার জন্যে ভয় পেতে বারণ ছিল না। বারণ ছিল না অভিমানের কান্নারও।
এখানে কিন্তু অন্য খেলা চলে। সাদায় কালোয় মিশে প্যালেটটা ধূসর হয়। কুয়াশা আসে, বৃষ্টির বদলে। অধিকারবিহীন অভিমানের মতো সে ধীরে ধীরে জমে, গিটারের তার গুলোয় জমে, লেখার খাতার পাতায় জমে। ওকে লুকিয়ে রাখার প্রয়োজন, কারণ আমরা কেউই তো ওই প্রজাপতিটা নই! মৃত্যু আসবে না আমাদের কাছে রাজার বেশে। দিনে দিনে একটু একটু করে চোরাগোপ্তা আক্রমণেই মরণ লেখা আমাদের। আর আক্রমণ ঠেকাতে চাইলে সবার আগে ওই প্যালেটটা বিসর্জন দাও ওয়াশ-বেসিনে, গিটারের তার গুলোকে যত্ন করে ছিড়ে তুলে রাখো আলমারির চোরকুঠুরিতে। কবিতা লেখার খাতায় একটা রোজনামচা বানাও, একটা রুটিন। প্রিয় বই গুলোর উপহারের পাতায় লেখো প্রিয় বন্ধুর নাম, তার পর কলম তুলে রাখো স্রেফ চেকবুকে সই করার জন্যে।
মনটাকে ঘাড় ধরে ফিরিয়ে আনো ছটা-দশটার চাকায়।
মনের সাধ্য কত যে বৃষ্টির আশায় অভিমান করবে !